বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
‘মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে, মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে’ প্রতিপাদ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বসন্তকে বরণ করতে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা বিভাগ। সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয় তারা।
এ সময় অধ্যাপক ড.তিয়াশা চাকমার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ।
এছাড়াও অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড. মোঃ:মনজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মোঃ রশীদুজ্জামানসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্যে ড. মোঃ রশীদুজ্জামানসহ বলেন, ‘শীত যেমন মানব জীবনকে জীর্ণ করে দিয়ে যায়, সেখানে ফুলে-ফলে, পত্র-পল্লবে নতুন করে সুশোভিত হয়ে ওঠে এই ঋতুরাজ বসন্ত।
মানব জীবনে সুখ-দুঃখের যেই জীর্ণ জীবন, মানব জীবনেও মাঝে মাঝে বসন্ত এসে ধরা দেয়। বসন্ত আমাদের শিক্ষা দেয় নানা দানে জীবনকে ভরে তুলতে। রিক্ততা শেষে অপ্রাপ্তি শেষে চরমভাবে উজাড় করে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ষড়ঋতুর প্রচলন পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আমাদের জীবনের সাথে ঋতুর গভীর এক সংযোগ আছে।
আমরা গ্রীষ্মের উদাস, বর্ষায় স্নাত এবং শরতে উদ্বেলিত আর বসন্তে সতেজ থাকার গান। আর ঋতুর এই প্রভাব বাংলার সাহিত্য জুড়ে বিস্তৃত। এমন কোন ঋতু নেই বাংলা সাহিত্যে যার স্থান হয়নি। নজরুল বলেছেন ‘এলো বনান্তে তে পাগল বসন্ত’যে। বাংলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী কাছে শীত কখনই উপভোগ্য ছিল না। পৌষের নিদারুণ চিত্র নিয়েও সাহিত্য রচিত হয়েছে। এজন্যই মানুষ বসন্তের অপেক্ষা করে।’ উল্লেখ্য, আয়োজনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, গান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা পরিবেশন করেন।