বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) জুলাই পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ইবি শাখা। সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গনে এই সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম.ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি কামাল উদ্দিন।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ ও ইবি শাখা ছাত্র মজলিসের সভাপতি নোমান হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক ইকরাম হোসাইন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য মাওলানা মামুনুল হক বলেন, গত ১৬ বছরে অন্যায়-অবিচার জুলুমের শিকার হয়েছে অনেক মানুষ। বিগত ফ্যাসিবাদের আমলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে ইসলাম। ইসলামের সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা ছিল তারাই নির্যাতিত, চরমভাবে অত্যাচারিত হয়েছে। এই আওয়ামী লীগকে এই জাতি ক্ষমা করে দিলেও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন না। এ অপরাধের ক্ষমা হয় না।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা সবধরনের বাংলাদেশ দেখছি- সোনার বাংলাদেশ,ডিজিটাল বাংলাদেশ এবার আমরা ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমি প্রশাসনে কাছে অনুরোধ করছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সকল বিষয়ে ইসলাম শিক্ষা কোর্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইবির নামের সার্থকতা রক্ষা করতে না পারলে নাম পাল্টিয়ে ফেলুন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি দরকার। ছাত্ররা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টা করে তাহলে তারা কি করতে পারে তারা তা দেখিয়ে দিয়েছে গত ৫ আগস্টে। এই ছাত্ররা শেখ হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে বিফল করে তারা একত্রিত থেকেছে। এবার ছাত্ররা বাংলাদেশের মানুষকে সুসংগঠিত করতে পারলে দেশ নতুন আলোর মুখ দেখবে।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘একদিনে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব না। ১৬ বছরে যা করেছে তা পরিবর্তন করা কষ্টসাধ্য। সময় নিয়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা ফ্যাসিবাদি সিস্টেমকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। ’