কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: বংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে থাকতে পারেন নাই। তিনি ভারতের আশ্রিতা হয়ে আছেন। ভারতের একটি পত্রিকা ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জনমত জরিপ তৈরি করেছে। সেই জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভারতের ৫৫ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার আশ্রয় দিতে অনিহা প্রকাশ করেছে। ভারতের জনগণ চায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে বাংলাদেশে সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করুক। শেখ হাসিনার স্থান বাংলাদেশেও নাই, ভারতেও নাই। বিশ্বের কোথাও নাই। কারণ শেখ হাসিনা তিনি নিজে খুনী, সন্ত্রাসী, গণহত্যাকারী ও গণশত্রু। তার সংগঠিত অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ৪টার দিকে নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র আয়োজনে পৌরশহরের মোক্তারপাড়াস্থ কালেক্টরেট মাঠে “নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বচানী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে” এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল সেটার তদন্ত করতে এসেছিল জাতিসংঘের একটি দল। সেই দল ফিরে গিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে স্পষ্টতই উল্লেখ আছে শেখ হাসিনার নির্দেশে হত্যাকান্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে। গত ১৫ যাবত বাংলাদেশের মানুষ ও বিএনপি যে কথাটা বলেছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে। এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খুনী সেই খুনীকে ভারত আশ্রয় দিয়ে সেই খুনীর প্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত হবে কিনা সেটা ভারত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জেলার ১০ উপজেলা এবং নেত্রকোনা পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। তবে নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির বিশাল মিছিলটি সবার নজরে কেড়েছে।