নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে: প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম আরিফুল ইসলাম রনক, নওগাঁ: পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী এ আই ও রোবটিক যুগের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে উঠবে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন। নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাঃ হাছানাত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, নওগাঁ জেলা প্রসাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল আক্ষেপ করে বলেন, অষ্টম শতাব্দীতে নওগাঁর পাহাড়পুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। কিন্তু আধুনিক যুগে এসেও নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয় নি বিষয়টি দুঃখ জনক। নওগাঁর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করলে আজ থেকে এক হাজার বছর আগে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা উচিত ছিলো। তিনি অতি সত্তর নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে যে বিষয়গুলো বিশ্ব বাজারে চাহিদা রয়েছে সে বিষয় গুলো চালুর সুপারিশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর মোহাঃ হাছানাত আলী বলেন, আজকে আমরা দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছি কিন্তু অনুষ্ঠানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই যা খুবই দুঃখ জনক। আগামী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নিজ কাম্পাসে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের আসা ব্যাক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে নওগাঁ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ১২ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন এবং প্রত্যেকে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে টিএমএসএস এত প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. হোসেনেআরা বক্তব্য প্রদান করেন।
এর আগে ফেস্টোন ও পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্ভোধন করেন। উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল পাশ হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চালুর সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও একাডেমি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়নি।