দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি – নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় গত ২ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সব প্রকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। জেলা কতৃপক্ষ বলছে, গত দুই মাসে পরপর দুইজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এখানে যোগদান করার কথা থাকলেও তারা কেউ যোগদান করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মৎ জেবুন্নেসা বদলী হয়ে চলে যান। এরপর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হানকে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হানের আর্থিক বিষয়ে কোনো ক্ষমতা না থাকায় গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এদিকে টেন্ডার কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে বলেও জানা গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব মিলিয়ে ১৩০ জন কর্মরত আছেন। প্রতি মাসে বেতন বাবদ তাদের অর্থ প্রদান করা হয় ৩৮ লাখ টাকা তবে গেলো দুই মাস (ডিসেম্বর ও জানুয়ারি) মাসের হিসেবে ৭৬ লাখ টাকা বেতন আটকে আছে।
এখন পর্যন্ত কেউ যোগদান না করায় অর্থকষ্টে দিন কাটছে অনেকের। বেশি কষ্টে পড়েছে নিম্ন পদের কর্মচারীরা। চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের প্রায় অর্ধেক চলে গেলেও এর মধ্যে এখনও কোনো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান না করায় চলতি মাসেও বেতন না হওয়ারও আশংকা রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আয়া কনক নামের একজন বলেন, দুই মাস বেতন পাই না। খুব কষ্টে আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান প্রতিবেদককে বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অফিসিয়াল অন্যান্য কাজ করতে পারলেও আর্থিক বিষয়ে অনুমোদন নেই।
বেতন প্রদানের বিষয়টির কার্যক্রম করতে হলে আমাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকার বিষয়টি ঢাকায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। এরপর এখানে প্রথমে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি যোগদান করেননি পরবর্তীতে আবারও আরেকজনকে দেওয়া হলে তিনিও করেননি। তিনি আরও বলেন, আমি ১০ তারিখ ঢাকায় গিয়েছিলাম এডিজি স্যারের সাথে কথা বলেছি আশা করি দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান হবে।