ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিনে পুকুরের সেঁচের পানি পাশবর্তীসু পারি বাগানে দিতে বলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো.এন্তাজ হাওলাদার (৬৩) নামের এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ কে একাধিকবার পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাদর হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হন এন্তাজ হাওলাদার (৬৩)। এদিকে এই ঘটনায় মোঃ নিরব হাওলাদার-(৩৫) কেও মারধর করেন অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এন্তাজ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন,আমাদের এক’ই বাড়ির আলম সর্দারের ছেলে হাবিবুল্লাহ হাওলাদার গংরা আমাদের বাড়ির এজমালি পুকুরটির মাছ ক্রয় করে মাছ ধরার জন্য গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) মেশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ শুরু করে।পুকুরের পাশে আমাদের একটি সুপারির বাগান। পুকুরের সেচের পানি আমার সুপারি বাগানে দিতে প্রতিপক্ষ হাবিবুল্লাহ গংদের অনুরোধ করি। কিন্তু বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফজরের নামাজ শেষে পুকুরের পারে গিয়ে দেখি তারা পানি অন্য জায়গায় দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে লক্ষ্যকরে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করেন এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে হাবিবুল্লাহ হাওলাদার গংরা তাদের পাশে থাকা বাশের লাঠি হাতে নিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও এলোপাতাড়ি ভাবে কিল ঘুষি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত সোমবার ( ৯ ফেব্রুয়ারী) মোকাম তজুমদ্দিন বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি মামলা দায়ের করি। পরে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) এ বিষয়ে হাবিবউল্লাহ হাওলাদার গংদের কাছে একটি নোটিশ আসলে তারা রাগান্বিত হয়ে আইয়ুব, নান্নু, কালাম, নিরব, মাকসুদ আমাকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও রড দিয়ে আমাকে আবারও এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে এবং মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। হাবিবুল্লাহ গংরা আমাকে গুরুতর ভাবে আহত করে উল্টো তজুমদ্দিন থানায় আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এন্তাজ হাওলাদারের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী সুস্থ হলে’ই এ ঘটনার বিষয়ে আমরা আবারও আইনের আশ্রয় নেব। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে, তাদের সঙ্গে কোনো ভাবে’ই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।