নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জয়কা গ্রামের বাসিন্দা কাজী হিজবুল্লাহ কাফী কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ সনদ ব্যবহারের একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসানের বিরুদ্ধে। যিনি জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন কাজী হিজবুল্লাহ কাফী।
অভিযোগে উল্লেখ, রেজাউল হাসান অবৈধ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করে জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন রেজাউল হাসান ২০২১ সালে “দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা, বাংলাদেশ” থেকে বিএ (অনার্স) উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ অর্জন করেন। তবে উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে। এর পরেও কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ পেলে তা অবৈধ বলে গণ্য হয়।
জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার জানান, তিনি এডহক কমিটির সভাপতির মনোনয়নের জন্য স্থানীয় তিন জন শিক্ষানুরাগীর নাম প্রস্তাব করেন। তাদের মধ্যে রেজাউল হাসান অন্যতম। তবে সনদপত্র যাচাইয়ের দায়িত্ব বিদ্যালয়ের নয়। তা জেলা প্রশাসনের কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রেজাউল হাসান তার সনদপত্রের বৈধতা দাবি করে বলেন, “আমার সনদপত্রে কোনো ধরনের জালিয়াতি নেই। এটি সঠিক এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। অনলাইনে সার্চ করলেও সনদের সঠিকতা জানা যাবে। জেলা প্রশাসনও সনদ যাচাই করেই বোর্ডে পাঠিয়েছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমীন জানান, “আমরা মৌখিকভাবে অভিযোগটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কাছে অসংখ্য প্রস্তাব আসে। যার ফলে সবগুলো যাচাই করা সবসময় সম্ভব হয় না। তবে প্রাপ্ত সনদ ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব মূলত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের উপর থাকে।