সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ আওতায় ওমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৮০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে অনুদান হিসেবে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হার পাওয়ার প্রকল্পের অংশীজনদের সমন্বয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ল্যাপটপ বিতরণ করেন হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জোহরা বেগম। অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
এর আগে সকাল ১০ টায় কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রশিক্ষনার্থী মাহফুজা আক্তার, গীতাপাঠ করেন স্বর্না রানী দাস। পরে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো: ইমরান হোসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমাসহ প্রশিক্ষনার্থী ও অতিথিগণ৷
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, ‘হার পাওয়ার প্রকল্পে’ থেকে অনেক দক্ষতা অর্জন করেছি, যা আমাদের আগামী দিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজ সরকারিভাবে ল্যাপটপ পেয়েছি। আমরা ঘরে বসে উপার্জন করতে পারবো। নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পরিবারকেও স্বাবলম্বী করতে পারবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জোহরা বেগম বলেন, আপনারা এ প্রকল্প থেকে যতটুকু শিখেছেন ততটুকু যদি আমাদের দেশের জন্য কাজে লাগান তাহলে দেশ আরও সামনে এগিয়ে যাব। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়া।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্তৃক নারীদের কর্মক্ষম ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে। আমি চাইব এই ল্যাপটপের সঠিক ব্যবহার আপনারা করবেন। নিজেকে স্বাবলম্বী এবং দেশকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।