কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা দায়ে স্বামী রমজান মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছেন নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। নিহত সালমা বেগম (২৪) নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ উপজেলার রানাহিজল গ্রামের মো. আলতু মিয়ার মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত রমজান মিয়া নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের আমতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের মো. হাসেম মিয়ার ছেলে।
এছাড়া এ হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- গ্রেফতারকৃত রমজানের বড় দুই ভাই মো. জুয়েল মিয়া ও মো. জামাল মিয়া (৩৮) এবং তাদের বাবা মো. হাসেম মিয়া।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, দুপুরের দিকে রমজান মিয়াকে আদালাতে গ্রেরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালমা বেগম হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সবুজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ে করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে সালমা বেগমের সাথে রমজান আলী বিয়ে হয়। তাদের দম্পত্য জীবনে চার বছর বয়সের একটি ছেলে সন্ত্বান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা বেশীর ভাগ সময় তারা ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। রমজান মিয়া জুয়া খেলার জন্য প্রায় সময় স্ত্রীর কাছে টাকা পয়সা চাইতন। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়েই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বেশ কিছুদিন আগে রমজান মিয়া ঢাকা থেকে নেত্রকোনার বাড়িতে চলে আসেন।
সম্প্রতি রমজান মিয়া ঢাকায় গিয়ে স্ত্রীকে বলে সে ভাল হয়ে গেছে। এই বলে নেত্রকোনায় ভাড়া বাসার কথা বলে এবং তারা দুজনে মিলে সুখে-শান্তিতে থাকার প্রলোভন দেকিয়ে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সালমা বেগমকে গ্রামের বাড়ি আমতলায় (পূর্বপাড়া) নিয়ে আসেন। রাতের খাবার খেয়ে ছেলে ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে রমজান মিয়া তার দুই ভাই ও তাদের বাবার সহায়তায় গলায় জুতার ফিতা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে সালমা বেগমকে হত্যা করেন।
পরে অপরাধ দামাচাপা দিতে রমজান মিয়া খাটে মাথা টুকে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। তার চিৎকার চেচামেচি শোনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের স্বামী রমজান মিয়াকে আটক এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।