কে. এম .সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় বৈচিত্র্য, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, নেত্রকোনা মহিলা কলেজ, আবু আব্বাছ ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন উপজেলার থেকে আগত সরকারি-বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বেসরকারী সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) অ্যাডভান্স ইক্যুয়লিটি অব উইম্যান এন্ড মারজিনালাইজড পিপল (আওয়াম) প্রকল্পের সহযোগিতায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের হল রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিএনপিএস এর নেত্রকোনা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি চক্রবর্তীর সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের পরিচালক শাহনাজ সুমী।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন জলি, চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, তেলিগাতী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও প্রবন্ধিক পূরবী সম্মানিত, বিএনপিএস’র বারহাট্টা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ভৌমিক প্রমুখ।
এরআগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইয়ূথ গ্রুপ প্রতিনিধি রিতু ইসলাম এবং ধারনাপত্র পাঠ করেন সেমিনারের সভাপতি মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী।
আলোচকবৃন্দ তাদের আলোচনায় বলেন স্বাধীকার আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সহ ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সকল পর্যায়ে নারীর অবদান পুরুষের তুলনায় কোন অংশেই কম ছিলনা । কিন্তু প্রতিবারই নারীকে পরবর্তীতে ভূলে যেতে দেখি। নারীর ইতিহাস যত্নের সাথে লিখে রাখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান, মানবাধিকার সনদ, সিডো সনদসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর সমতার কথা বলা হয়েছে কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো যে বাস্তবায়নের গতি খুব ধীর। আগামী দিনের রাষ্ট্রের কান্ডারী হিসেবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
বিশেষ করে নারী-পুরুষ, ধনী-দারিদ্র,ধর্ম, জাতি, পেশা সহ সকল ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবার ও সমাজের বৈচিত্রতাকে মেনে নিতে হবে বা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তন করে নারী পুরুষকে আলাদা করে না দেখে সকলকে মানুষ হিসেবে দেখলেই জেন্ডার সমতা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর এসব ক্ষেত্রে পরিবার সমাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভুমিকা আবশ্যক বলে আলোচকবৃন্দ মনে করেন।