-মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক এবং সাতজন সরাসরি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়।
সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আবু বকর সিদ্দিকী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁঞা ও ড. ওবায়দুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. নাজমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আব্দুল গাফ্ফার খান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, ড. মোছা. নুরজাহান খাতুন, ড. মো. ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার, ড. মো. বশীর উদ্দীন খান ও ড. রুখসানা সিদ্দীকা, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের ড. মো. জয়নুল আবেদীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ড. মুহাম্মদ বদরুল আলম মিয়া, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের ড. শাহ আদিল ইশতিয়াক আহমদ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের ড. মাহমুদা বিনতে লতিফ এবং গণিত বিভাগের ড. মো. আব্দুস সালাম।
গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭ জন অধ্যাপক। গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন- গণিত বিভাগের ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ আলী, বিজিই বিভাগের ড. মো. মাসুদার রহমান ও ড. আশরাফ হোসাইন তালুকদার, ইএসআরএম বিভাগের ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক ও ড. শামীম আল মামুন, সিপিএস বিভাগের ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক এবং আইসিটি বিভাগের ড. মনির মোর্শেদ। এ বিষয়ে ড. মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, ‘অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের।
এটি শুধু পেশাগত সাফল্য নয়, বরং বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও জ্ঞান অর্জনের স্বীকৃতি। এ পদোন্নতি ব্যক্তিগতভাবে যেমন গৌরবের, তেমনি এটি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও বেশি দায়িত্ব ও অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করে।’ ড. মো. ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘কর্মীদের পদোন্নতি একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, মানসম্মত গবেষণা এবং উচ্চ শিক্ষার প্রতি তাদের নিবেদনের প্রমাণ। এ অগ্রগতি কঠোর মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত ডিগ্রি, নামী জার্নালে উচ্চ-মানের প্রকাশনা, শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে অবদান।’
তিনি আরো বলেন,’এ ধরনের অগ্রগতি শুধু অতীতের অর্জনকেই স্বীকৃতি দেয় না বরং শিক্ষাবিদদের জন্য যুগান্তকারী গবেষণায় নিয়োজিত হতে, ভবিষ্যতের পরামর্শ দিতে এবং সমাজের উন্নতির জন্য জ্ঞান সৃষ্টিতে অবদান রাখতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এ মাইলফলকগুলোকে হাইলাইট করা একাডেমিক বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে।’ পেশাতে নিয়মিত পদোন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের এ পদোন্নতি দেরিতে হলেও আমাদেরকে এবং আমাদের অনুজদেরকে উৎসাহ দেবে।