মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা:
অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ পাওয়া যাবে ডা. মোস্তফা আলম বনি’র বই, একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ও লেখক, ডা. মোস্তফা আলম বনি‘র বই ‘গল্প ছন্দে স্বাস্থ্যকথা’। ব্যাপক সারা ফেলবে বলে বিশ্বাস সূধীজনের। । তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রচিত এ বইটিতে গল্প ও কবিতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবার্তা বিষয়ে আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য হিসাবে তুলে ধরেছেন । তিনি স্বাস্থ্যবিষয়ক জটিল তথ্যকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন ।
বইটি শুধু তথ্যসমৃদ্ধই হওয়ায় পাঠকের মনের স্পন্দে জায়গা দখল করবে বলে ধারণা করা যায় । বইটি স্বাস্থ্য সচেতন পাঠকদের জন্য যেমন উপযোগী, তেমনই শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে, এ প্রত্যাশাও করা যায়। মোস্তফা আলম বনি’র জন্ম রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের বাহার কাছনা গ্রামে। পিতা মৃত জহিরুল আলম একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা মোছা, মোসলেমা বেগম একজন গৃহিণী। পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র ডা. মোস্তফা আলম বনি।
তিনি ১৯৯৭ সালে রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর থেকে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর থেকে এইচএসসি এবং ২০০৫ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর থেকে এমবিবিএস পাস করেন । পরবর্তীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, ঢাকা থেকে মেডিসিন বিষয়ে উচ্চতর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। একুশে বইমেলা ঢাকার ৭৩৬-৭৩৭ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাবে ।
বইপ্রেমী ও স্বাস্থ্যসচেতন আনন্দ পেতে ‘গল্প ছন্দে স্বাস্থ্যকথা’ বইটি হতে পারে বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ। ডা. মোস্তফা আলম বনি বলেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা, রোগীদের চাওয়া-পাওয়ার দূরত্ব, জনসাধারণের চিকিৎসা বিষয়ক বাড়াবাড়ি, কিছু ভ্রান্ত ধারণা এবং কৌশলগত ভুল-এসব বিষয় বিভিন্ন গল্প-ছন্দ-ছড়া-কবিতার মাধ্যমে পাঠকের মাঝে উপস্থাপনের ক্ষুদ্র প্রয়াসের বহিঃপ্রকাশের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি বইটিতে।
মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানো আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এই বইটি পাঠকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলেই আমার আশাবাদ। বইটি অতি সহজে যেন পাঠক পায় তার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে অনেক কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে ।
সেই সাথে তার ফেসবুকে স্বাস্থ্যবার্তা দিতেন এই ডাক্তার। নিয়মিত চলে তার এই কার্যক্রম। এখন বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনসালটেন্ট (মেডিসিন) হিসেবে কর্মরত আছেন। বিবাহিত জীবনে তিনি তিন কন্যাসন্তানের জনক। সহধর্মিণী ডা. এস. এম. মোছাদ্দেকা ইসলাম রূপসা, পেশায় একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও অকুলোপ্লাস্টিক সার্জন। পেশাগত জীবন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের উদ্দেশে দীর্ঘদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজ(Dr. Md. Mostała Alam Bony)-এ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবার্তা দিয়ে আসছেন।