কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুর ও জিগাতলা এলাকায় দুইটি বসত বাড়িতে সংঘঠিত দুর্ধর্ষ ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অপরাধে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার শিবগঞ্জ থানাধীন ভাটরা গ্রামের মৃত ছামছদ্দিনের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৭)। আরেকজন সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন বেরবাড়ী গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৩)।
আন্ত:জেলা ডাকাত দলের গ্রেফতারকৃত দুজনকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ও মতিঝিল এই দুই থানা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (পূর্ব) সায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের মুখপাত্র অতিক্তি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান।
তিনি জানান, গত ২১ ডিসেম্বর পূর্বধলা থানাধীন জিগাতলা ও হিরণপুর গ্রামে দুইটি বসত বাড়িতে জানালার গ্রীল কেটে অজ্ঞাতনামা আট-নয় ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। বাড়ির সকল সদস্যদের হাত-পা বেধে ওয়্যারড্রপ, আলমিরা, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের ভেতর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবইল ফোনসহ আনুমানিক ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
তিনি আরো জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুজন পূর্বধলায় ডাকাতি ঘটনা সংগঠনের সাথে জাড়িত থাকার কথা স্বীকার এবং মামলার তদেন্তে সহায়ক অন্যান্য তথ্যাদি প্রকাশ করেছে। তাদের কথা মতে উভয় ডাকাতি ঘটনার কাজে ব্যবহৃত দুইটি করে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও কাঠের হাতলযুক্ত দেশীয় দা, একটি করে রিবার কাটার, স্টিল কাটার, পাইপ কাটার, সনি ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা, রাউটার, মাংকী টুপি ও কাঁধ ব্যাগ এবং তিনটি করে বাটন ফোন ও রেঞ্চ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডিবি’র আভিযানিক দলটি।
ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি কামরুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পূর্বধলা উপজেলায় উভয় ডাকাতির ঘটনায় পলাতক অপর আসামীদের গ্রেফতারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।