নিজস্ব প্রতিবেদক: এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সমাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সাথে অভিভাবকরাও অংশ নেয়।
সম্প্রতি ওই শিক্ষকের একটি অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শোনা যায় ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিচ্ছেন। কল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীও শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এরই জেরে সামনে আসে ওই শিক্ষকের নানা অনিয়মেরও।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন শিক্ষার্থীদেরকে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। অন্যথায় ফেল করানোর হুমকি দেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে। এছাড়া ছাত্রীদের সুযোগ সুবিদার দেওয়ার প্রলোভনে কু-প্রস্তাব দেন। দ্রুত ওই শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুনকি দেয় শিক্ষার্থীরা।
পাশাপাশি শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনকে বিদয়ালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ত্যাগ করে।
এদিকে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। অডিও কল রেকর্ডটিকে তিনি এআই দিয়ে তৈরি এডিট বলে দাবি করে বলেন, এসব ষড়যন্ত্র।
ফাঁস হওয়া অডিও কল রেকর্ডে শিক্ষকের সাথে কথা বলা ওই ছাত্রী জানান, কল রেকর্ডটি এডিট নয়, এটি সত্যি। শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের সাথে পরীক্ষার বিষয় নিষে কথা বললে তিনি আমাকে কু-প্রস্তাব দেন। কল রেকর্ডটি কিছুদিন আগের। ওই ঘটনায় আমি স্কুলে গিয়ে সে সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।