মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা সদরের দক্ষিনবানিয়ার জান গ্রামের আমজাদ হোসেনের ২য় পুত্র অনিক আহমেদ হৃদয় (২২) । লেখাপড়া করেন ঢাকা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বড় ভাইয়ের শশুরবাড়ীর সাথে পারিবারিক ভাবে দ্বন্দ্ব হওয়াতে মিথ্যা ভাবে মামলায় নাম দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার মা ও পরিবার ।
সেই মামলায় কারাগারে শিক্ষানবীশ সাংবাদিক। পরিবার সূত্রে জানা যায় ঢাকায় গণযোগাযোগও সাংবাদিকতায় লেখাপড়া করেন অনিক, ওখান থেকেই জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে ভাইয়ের শশুর বাড়ির লোকজন ভাইয়ের সাথে তারও নামে মামলা দেয়। জানতে পেরে জামিন নিতে ঢাকা হতে ১১ জানুয়ারী গাইবান্ধার উদ্দেশ্য রওনা দেন আলহামরা বাসযোগে।
ভুক্তভোগীর,মা এবং মামলার এজাহার সূত্রে পর্যাআলোচনা করে জানা যায়,গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিন ধানঘরা গ্রামের ফাইমা বেগম (৪৪) এর দেয়া গাইবান্ধা সদর থানার মামলা নং-১১ ২৫ইং,জিআর ১১/২৫, অত্র মামলায় ২নং আসমী গত ১২-১-২৫ ইং তারিখে অন্যান্য আসামিসহ আত্মসমর্পণ করতে আসলে অনিক আহম্মেদ হৃদয়-কে এই মামলায় বিজ্ঞ সদর থানার আমলী আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এরআগে, পারিবারিক কলহের জেরে ২নং আসামীর বড় ভাই আসিফ ফয়সাল লেলিন তার স্ত্রীর পরিবারের সহিত দীর্ঘ দিন ধরে দু পরিবারের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছিল ।
এরই জের ধরে হৃদয়কে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার মা বলেন, ঘটনার দিন আমার ছোট ছেলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সফরে ৮ তারিখ হইতে-১১ জানুয়ারী পর্যন্ত সে সাজেক ও সেন্টমার্টিনে ছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানায়। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান আফতাব হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্রে দেখা যায়,বাদিনীর উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে ২নং আসামী অনিক আহমেদ হৃদয় ৮ তারিখ হইতে ১১ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষা সফরে সাজেক ও সেন্টমার্টিন অবস্হান করছিলেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, শিক্ষানবিশ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর কারনে তাকে জেল হাজতে যেতে হল ,মিথ্যা মামলা প্রতাহার সহ মুক্তির দাবী করেন ।
একই সাথে সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। ও নিরাপরাধ ব্যাক্তিদের যেন মামলায় না জড়ানো হয়। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি জানান,বাদীনির এজাহারের ভিত্তিতে মামলাটি রুজু করা হয়। আমি বিষয়টি অবগত আছি, ২নং আসামী লেখাপড়া জন্য ঢাকায় অবস্থান করেন। সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।