স্বীকৃতি বিশ্বাস,যশোরঃ
শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতি মোছার প্রতিবাদে যশোরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার বেলা সাড়ে চার টায় যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের জেলা সংগঠক সুমাইয়া শিকদার ইলার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র নেতা সামিউল আজিম, ইব্রাহিম খলিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার জেলা সমন্বয়ক কমরেড খবির শিকদার, শামিম হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যারা এই ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদেরই দোসর বা নব উদ্ভূত ভিন্ন গোত্রের ফ্যাসিবাদেরই ধারাক এবং বাহক শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদার এদেশের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রধান সারির নেতৃত্ব৷ ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পাক সামরিক বাহিনী, সকল সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদমুক্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আত্মনির্ভরশীলভাবে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রাম করেছেন৷ ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়েও বিশ্বাসঘাতক ভারতের দালাল শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই সংগ্রাম করেছেন।
এদেশের শ্রমিক-কৃষক-আদিবাসী-নারীসহ নিপীড়িত জনগণের প্রকৃত মুক্তির লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রামের পথ দেখিয়েছিলেন। একারণেই তৎকালীন বাকশালি মুজিব সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা এই সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদবিরোধী, সামন্তবাদবিরোধী, দেশীয় দালাল-মুৎসুদ্দি পুঁজিপতিশ্রেণি বিরোধী বিপ্লবী সংগ্রামের নেতা শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদার এর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেছে, গ্রাফিতি মোছার স্পর্ধা দেখিয়েছে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগেরই দোসর।
একজন ছাত্র নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একদল প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্রদের এই গ্রাফিতি মোছার ন্যক্কারজনক ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷ এবং সারা বিশ্বের বিপ্লবী, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক সংগঠন, শক্তি, ব্যক্তিদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। একইসাথে এই কাজে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে এবং ঢাবি প্রশাসনকে সকল সাম্রাজ্যবাদ এবং ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী কন্ঠস্বর শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদার এর গ্রাফিতি পুনরায় অঙ্কন করার দাবি করেন।