জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিষয়টি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১. মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এজেন্ডাভূক্ত শিক্ষার্থীদের মূল দাবি দুটি নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ ও গুরুত্বের সাথে বিস্তারিত আলোচনা শেষে কাঙ্ক্ষিত পজিটিভ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ২. ২য় এজেন্ডা আলোচনা শেষে জবি উপাচার্য আবাসিক ভাতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেন। তবে বিষয়টি এই সভায় আলোচনার সুযোগ নেই মর্মে অবহিত করা হয়।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করবে। উক্ত কমিটি এ বিষয়ে একটি প্রস্তবনা তৈরি করে সম্ভব হলে সংশোধিত বাজেটে অথবা ২০২৫-২৬ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ইউজিসি তে সাবমিট করবে এবং তা গ্রহণ করানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধানে বর্তমান জবি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই নিরলসভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং অচিরেই এক্ষেত্রে আরো সাফল্য আসবে। ইনশাআল্লাহ। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে শিক্ষার্থীরা সব ধরণের চলমান কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসবে বলে উপাচার্য প্রত্যাশা করছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের দুইটি দাবির লিখিত পেয়েছি। ৩য় দাবি নিয়ে প্রশাসন আমাদের লিখিত দেয়নি তবে আগামী অর্থবছরে এটা ইউজিসিকে জানাবে। আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নিচ্ছি তবে প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ আমাদের থাকবেই। কোন অসংগতি দেখলে আবার আমরা কঠোর অবস্থান নেব। তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থী ৩য় দফা লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত শাটডাউন অব্যাহত থাকবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থী মোঃ শের আলী (আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট ২০২২-২৩ সেশন) বলেন, ৩য় দফা (অস্থায়ী আবাসন না পাওয়া পর্যন্ত আবাসন ভাতা দিতে হবে) দাবির বিষয়ে লিখিত না আসা পর্যন্ত শাটডাউন প্রত্যাহার হবে না। এককভাবে নেয়া কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।