নিজস্ব প্রতিবেদক: এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ আহুত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ এর নৃশংস সন্ত্রাসীর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে নেত্রকোনা পৌরশহরে কালিবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রকোনা জেলা সংসদের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি ভুঁইফোড় সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যে পৈশাচিক হামলা করে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এটা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। তারা সংগঠনের নামে সভেরেন্টি রেখেছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুমির অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়, এই বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। আদিবাসী শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে একটা বিচ্ছেদে রাজনীতি জিইয়ে রাখা হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ৭১ এর পরাজিত আলবদররা বাংলার রাজনীতিতে অদিষ্ট হয়ে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ফর সভারেনটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, সকল জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরা সময়ের দাবি। পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি পুনরায় সংযুক্ত করতে হবে। একই সাথে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিছিলে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বক্তারা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রকোনা জেলা সংসদের সভাপতি আহমদে তানভীর মোকাম্মেল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান সায়েম সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিক, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পুজা সরকার, দপ্তর সম্পাদক হাসান জাওয়াদ খান,প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পৃথ্বীরাজ রুদ্র, সদস্য হৃদয় শেখ, নূর আলম সিদ্দিকী, জহির রায়হান এবং সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম মোস্তফা হীরা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।