স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’র মিছিলে জলকামান ও সাইন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন তিনজন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে গতকাল আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যনারে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে তাদের ওপর জলকামান ও সাইন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এতে এক সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ৩ জন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে এনসিটিবির সামনে অবস্থান নেয় স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামের একটি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। পরে এনসিটিবির সামনে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার নামে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে লাঠি, বাঁশ দিয়ে কয়েকজনকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।
এর আগে, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয় এনসিটিবি। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় বেশ কিছু পাহাড়ি সংগঠন।