দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক মৎস্যচাষীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার শিং মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া বর্মনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী পরিবারটি।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে পুকুরের প্রায় সব শিং মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম ও স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা গেছে, মাছ ব্যবসায়ী সুনীল বর্মন গত জ্যৈষ্ঠ মাসে তার বাড়ির পাশে থাকা ৩০ শতাংশের একটি পুকুরে দুই লাখ ও ১০ শতাংশের আরেকটি পুকুরে এক লাখ শিং মাছের পোনা অবমুক্ত করে তা লালন পালন করে আসছিলেন। পুকুর পাহারা দেওয়ার জন্য তিনি আব্দুল জলিল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নিয়োগও করেন। বুধবার দিনগত রাত ৭টার দিকে পাহারাদার জলিল ৩০ শতাংশের পুকুরটিতে গেলে তাকে দেখে পুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবেশি বাবুল বর্মনের ছেলে মিঠুন বর্মন ও রণজিত বর্মনের ছেলে হৃদয় বর্মন নামে দুই যুবককে চলে যেতে দেখেন। পরে রাত ১০টার দিকে তিনি আবারো পুকুরে গেলে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন।

বিষয়টি জানতে পেরে পুকুর মালিকসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন এবং পুকুর পাড়ে বিষ জাতীয় দ্রব্যাদির আলামত দেখতে পান। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ১০ শতাংশের পুকুরটিতে থাকা এক লাখ শিং মাছও একই ভাবে বিষ প্রয়োগে নিধন করা হয় বলে অভিযোগ করেন পুকুর মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী সুনীল বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে বাবুল ও রণজিতের ছেলে আমার পুকুরে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেছে। এসব মাছ চাষ করতে গিয়ে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিছুদিন পরেই মাছগুলো অন্তত ২০-২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। ওরা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। তিনি এর বিচার চান এবং ক্ষতিপূরণ আশা করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে মিঠুন বর্মনকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা বাবুল বর্মন বলেন, আমাদের সাথে সুনীল বর্মনদের শত্রুতা আছে এটা ঠিক। কিন্তু তা আরো আগেই তা মীমাংসা হয়ে গেছে। মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় আমার ছেলেকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে হৃদয় বর্মন বলেন, আমি নওপাড়া বাজারে মাছের ব্যবসা করি। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১২টার দিকে মানুষের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাই সুনীল বর্মনের পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। বর্তমানে তাদের সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। পুকুরে বিষ দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে মৃত এবং জীবিত কিছু মাছ প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি। মৃত মাছের পেটে খাবার আছে। তবে জীবিতগুলোর পেটে নেই। তাই বাইরে থেকে পুকুরে কেউ বিষ জাতীয় কিছু দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাছগুলো মারা যাওয়ার কারণ নিশ্চিত হতে হলে পুলিশের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি-তদম্ত) উমর কাইউম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version