প্রথম টেস্টে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইটা চলেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে তার উলটো দৃশ্যটাই দেখা গেল। কেপ টাউনের এই ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানকে হারিয়েছে ১০ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি আর।
ম্যাচের ফলটা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। রায়ান রিকেলটনের দুর্দান্ত ২৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে তারা ৬১৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায়, আর ফলো-অনে পড়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান শক্ত লড়াই করে। অধিনায়ক শান মাসুদ দলের হয়ে ১৪৫ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার কোয়েনা মাফাকা নতুন বলে মাসুদকে এলবিডব্লিউ করে তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান। মাসুদের আউট হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই কাগিসো রাবাদা সাউদ শাকিলকে স্লিপে ক্যাচে পরিণত করেন, যা পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙার সূচনা করে।
পাকিস্তান দুই ইনিংসেই খেলেছে একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে। কারণ প্রথম দিনের সকালে ফিল্ডিং করার সময় সাঈম আইয়ুব গোড়ালির চোটে পড়ে টেস্ট থেকে ছিটকে যান। তবে দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৪৭৮ রান করে। ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪১) এবং সালমান আগা (৪৮) ৮৮ রানের জুটি গড়েন। পরে আমের জামালের ৩৪ রানের দ্রুত ইনিংস পাকিস্তানকে লিড এনে দেয়। তবে সেটাও ছিল মোটে ৫৭ রানের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের জন্য এটি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট সহায়ক ছিল। বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ৪৫ ওভার বল করে ১৩৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন।
ফিল্ডিং করার সময় রিকেলটন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন, যার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাটিং করতে পারেননি। তার পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামেন ডেভিড বেডিংহাম। বেডিংহাম ৩০ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন। ৫৮ রানের লক্ষ্যটা মাত্র ৭.১ ওভারে তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা সাতটি টেস্ট জয় পেল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের ইতিহাসে এত টানা এত ম্যাচ জেতেনি কখনোই। এই ফর্ম নিয়ে তারা জুন মাসে লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে