আরিফুল ইসলাম রনক, নওগাঁ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নওগাঁ জেলা কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম (৫২) তাঁর বড় ভাইদের বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই এলডিপি নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল ইসলাম বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের কালিগ্রাম মরুপাড়া গ্রামে। তাঁরা চার ভাই ও তিন বোন। তাঁর বাবা জমশেদ আলী ম-ল মারা যাওয়ার আগে বসতভিটা, আবাদি জমি, পুকুর ও বাজারে মার্কেটের জমি সমান ভাগে ভাগ করে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে যান।
তিনি লেখাপড়া ও চাকরির সুবাদে দীর্ঘ দিন বাড়ির বাইরে অবস্থান করায় বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর আলম এজাজ ও আসলাম আলী তাঁর ভাগের ২৫-২৬ বিঘা সম্পত্তি দেখভাল করে আসছিলেন।
২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর ভাইদের কাছে নিজের মালিকানাধীন সম্পদ বুঝে নিতে গেলে ভাইয়েরা তাঁকে সম্পদ না দিয়ে কুক্ষিগত করে রাখে। এমনকি তাঁকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকিও দেন।
সম্পদ তাঁকে বুঝে দেওয়ার কথা বলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে ৩০-৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বড় ভাইয়েরা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকে তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে আবাদপুকুর বাজারের মার্কেটের সম্পদ বন্টন করে দেন এবং বাকি সম্পদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বুঝে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
সালিসের পর বড় ভাইদের সম্পদ বুঝে দেওয়ার কথা বললে তাঁরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,‘ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে আমার ভাইয়েরা আমাকে ন্যায্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে এসেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও তাঁদের দৌরাত্ম থেকে নেই।
এখনও তাঁরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কায় রয়েছি। ন্যায়বিচারের জন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’