কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি’র ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) রাত পৌনে ৮টার দিকে নেত্রকোনা পৌর শহরের শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধানসড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানীসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেন।
এ সময় এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী বলেন, ছাত্রলীগ নৈরাজ্য সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে। দলীয় নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকতে আহবান করেন। দলীয় মুখোশ পাল্টে ছাত্রদলের ছদ্মবেশ ধারণ করে যেন কোন অপকর্ম করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে নেতা কর্মীদের আহবান জানান তিনি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজ শাহনেওয়াজ জানান, আজ (শুক্রবার) ভোরের দিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক কৌশিক রায় এবং সুচন মিয়াদ্বয়ের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরশহরের তেরী বাজার প্রধান সড়ক হয়ে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার সময় নেত্রকোনা সদর থানার টহল পুলিশ সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মিছিলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা নেতাকর্মীরা হলেন- নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নাগড়া (বাড়ইপাড়া) এলাকার বাবুল সরকারের ছেলে চিন্ময় সরকার (২৭)। জেলা ছাত্রলীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও বড় বাজারের সজল সরকারের ছেলে সন্দীপ সরকার (২৫)। নেত্রকোনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং বড় বাজারের দুর্গাচরন সাহার ছেলে জয় সাহা (২৫)। জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও বড়বাজারের মৃত রাখাল চন্দ্র বণিকের ছেলে সিন্ধ বণিক বিশাল (২৫)। নেত্রকোনা পৌর ছাত্রলীগের সদস্য ও বড় বাজারের কৃষ্ণ রায়ের ছেলে রাহুল রায় (২৪) এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বারহাট্টার নৈহাটি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে লোকমান হোসেন (২৮)।
বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতারকৃত ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন এবং মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি।