ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার বাসচালক মো. নুরুদ্দিনের (৩০) জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।একটু পর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেবেন আসামি নুরুদ্দিন।
এছাড়া গ্রেফতার বেপারী পরিবহনের মালিক ডাবলু বেপারীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান। এ বিষয়ে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী নরুল আমিনের বোনের পরিবার প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য বেলা সোয়া ১১টার দিকে অপেক্ষায় ছিল। তাদের বহনকৃত গাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী ও সন্তানসহ টোল প্রদান করছিলেন। মোটরসাইকেলটি টোল দেওয়ার সময় প্রাইভেটকারকে পিছন দিক হতে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বেপারী পরিবহন ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেটকার চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেল চালক সুমন মিয়া (৪২)।
নিহত আমেনা আক্তারের ভাই মো. নরুল আমিন (৫২) বাদী হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।