সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের অন্যতম সীমান্তিক উপজেলা দোয়ারাবাজার। উপজেলার একাধিক সীমান্ত সক্রিয় রয়েছে চোরাকারবার চক্র। চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে চিন থেকে আমদানি করা রশুন,শিং,ইলিশসহ বিভিন্ন বাংলাদেশ পণ্য। তাছাড়া শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ পথে বাংলাদেশ প্রবেশ করছে গরু মহিষ, কাপদ, মসলা, কসমেটিক, প্রসাধনিসহ মাদক দ্রব্য।
উপজেলার সীমান্তে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার সীমান্তে চোরাকারবার চক্রের হোতা রফিকুল ইসলাম রফুর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করেছেন মৌলারপার এবং বাশতলা গ্রামের বাসিন্দারা। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদক বন্ধে রফু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান অন্তরের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, এলাকার চোরাকারবারের সাথে একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হিসেবে কাজ করছে মৌলারপার এলাকার প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম রফু ও তার পরিবার। তাঁর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় যাবতীয় চোরাকারবার। রফু, ফজলু , দেলোয়ার গং রা স্থানীয় এলাকায় মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এতে এলাকা যুব সমাজ মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ছে চোরাকারবারের সাথে।
রফু বাহিনীর চত্রছায়ায় মৌলারপার বর্ডার দিয়ে ভারতে পাচার চায়না রসুন, সুপারী, শিং মাছ, ইলিশ মাছ। অবৈধভাবে ভারত থেকে প্রবেশ করা হচ্ছে মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা, বিয়ার, চিনি এবং আপেল, কাপড়, কসমেটিকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য। প্রতিদিন সন্ধা নামার সাথে সীমান্তে চোরাকারবার সংঘটিত হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রহস্যজনক কারনে নিরব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
রফিকুল ইসলাম রফুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগ পত্রে।সীমান্তে চোরাকারবার প্রতিরোধে রফিকুল ইসলাম রফুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে রফিকুল ইসলাম রফু’র মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি৷ তবে রফিকুল ইসলামের ভাই ফজলু মিয়া বলেন, আমরা চোরাচালানের সাখে যুক্ত নেই। বরং আমরাই চোরাচালানের প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।