উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি||
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারের সংগঠন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ ও বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুবুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপা রানী চৌহান, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ খান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারজানা আজাদ সুমি, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ জাহিদুল হক, ডাক্তার মির্জা মিনহাজুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি ডাক্তার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি ডাক্তার সালমা আক্তার , সহকারী সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ সরকারের সব নীতি নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করে সিভিল প্রশাসন। কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আমূল পরিবর্তন দরকার। সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসচিব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের সব সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে একটি গ্রুপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার শুরু করেছে। সিনিয়র সার্ভিস পুলের (বা উপসচিব পুল) পদ কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের নয়। সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার।
তারা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন। বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা। যারা সেই সেক্টর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া সব সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও বৈষম্য রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।