রাজবাড়ীতে প্রেমিকের ডাকে সারা দিতে গিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৭) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, ফেসবুকে তাদের ১২ দিনের পরিচয়, আর ৪ দিন হয় প্রেমের বয়স। এর মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো।
বুধবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাবুর ছেলে মোঃ সোহান (১৬), দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সালমান মাহিন (১৬), একই ইউনিয়নের কামলাদিয়াকান্দি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ সজিব অমিত (১৯)।তবে পলাতক রয়েছে বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের আলেকের ছেলে রাশেদ (২০)।
ওই ছাত্রীর পরিবার ও থানা পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ছাত্রীর সাথে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাবুর ছেলে মোঃ সোহানের পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্রধরে ঘটনার চার দিন পূর্বে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। যার অংশ হিসেবে সোহান ওই ছাত্রীকে দেখা করতে বলেন। প্রেমিকের কথা রক্ষা করতে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার ভবদিয়া পার্কে দেখা করতে যায় ভুক্তভোগী। সেখানে তার কথা হয় প্রেমিক সোহানের। এক পর্যায়ে সোহান তার অপর তিন সহযোগিকে নিয়ে অজ্ঞাত একটি বাড়ীতে নিয়ে আটকে রাখে এবং পর্যায়ক্রমে সকলে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
টানা দিন মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে সোহান মেয়েটিকে জেলা শহরের বড়পুল এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর মেয়েটি বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন।রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই গণধর্ষণের শিকার মেয়েটির জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সাথে তার ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।