গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া” গর্ভপাত করে নিজ শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসীর পরকীয়া করা সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে। জানাযায়,উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সোহাগী গ্রামে গত ( ২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার সময় বড় সোহাগী গ্রামের মৃত্যু আঃ সোবাহানের পুকুরে এক নবজাতকের মৃত্যুদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। গ্রামসহ আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা মর্গে পাঠায়।
এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে। বিষয়টি এলাকার মহিলারা আচ করতে পারে। পরে সন্দেহ হলে আগে থেকেই দুজনের মধ্যে কিছু একটা চলে বলে জানায় এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ ছোট সোহাগী গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নাল এর স্ত্রী শাহিনুরের সাথে একই গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে আব্দুল্লার দীর্ঘদিনের পরকীয়া আছে বলে জানায় এলাকাবাসী,এর ফসলই এই নবজাতক শিশু। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সৌদি প্রবাসী জয়নাল তার স্ত্রীকে তালাক করবে প্রবাস থেকে ফোনে জানায়। ফলে বিপাকে পরে স্ত্রী শাহিনুর। নিরুপায়, হয়ে পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় শাহিনুর বেগম পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল্লার বাড়ীতে গিয়ে ওঠে। ভুক্তভোগী,শাহিনুর বেগম এলাকাবাসীর নিকট স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়।
যে নবজাত শিশু গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে ডেলিভারি হয়। পরে আব্দুল্লাহ ও শাহিনুর নবজাতককে নিয়ে বড় সোহাগী গ্রামের নিজ বাড়ীতে যায়। পরে আব্দুল্লা বাড়ি এসে পালিয়ে থাকলে যোগাযোগ করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে সমাজের কাছে নিজেকে গোপন রাখতে নিজের সন্তানকে পুকুরে ফেলে দিয়ে হত্যা করে মা শাহিনুর এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক আব্দুলাহর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এঘটনায় এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়। এদিকে, নবজাত হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে প্রভাবশালীরা অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালায় । তবে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকার জনগনের। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বুলবুল আহমদ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধী সনাক্ত না হওয়ায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। তবে অপরাধী সনাক্ত কাজ করছে পুলিশ পরে নিয়মিত মামলা হবে বলেও জানান