ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইইবি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। এসময় জাতীয় সংগীত ও ভোক্তা অধিকার শপথ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ত্বকী ওয়াসীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও সিওয়াইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান। এসময় সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য ইনসানুল ইমাম ও সুদক্ষিণা সকালের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি খন্দকার আবু সাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মেহেদী হাসান, অর্থ সম্পাদক রাউফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক নূর হোসেন আল রিফাত সহ অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংগঠনটির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক রাকিব রিফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুলসুম আক্তার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, অর্থ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক শহীদ কাউসার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুকান্ত দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে যতগুলো সংগঠন আছে তার মধ্যে সিওয়াইবি একটি অন্যতম ও ব্যতিক্রমী সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাইরে সর্বত্রই সচেতনতা ও সাহসিকতার পরিচয় দেয়। যিনি ভোগ করেন তিনিই মূলত ভোক্তা। এমন কেউ নেই যিনি ভোগ করেন না কিন্তু অনেক ভোক্তাই আছে যারা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। আর তাদেরকেই সচেতন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সে সিওয়াইবি কাজ করে।
এছাড়া তিনি নবীন, প্রবীণদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে নবীনদের উদ্যমী হয়ে উঠতে ও সংগঠনের মাধ্যমে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সিওয়াইবির সভাপতি ওয়াসিফ বলেন, ‘আজকের নবীনরা এমন এক সময়ে এসেছে যে সময়ে আমাদের দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের প্রাণের বিনিময়ে এবং অনেক আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। আমরা আগে এ সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। এখন আমরা স্বাধীনভাবে এ সংগঠনের কাজকে আরো দ্রুতগামী করতে পারব এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে নবীনরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ ও প্রবীণরা স্মৃতিচারণমুলক বক্তব্য প্রদান করে। পরে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।