১৬ ডিসেম্বর, বাঙ্গালি জাতির এক গৌরবময় দিন, জাতীয় ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণ। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পৃথিবীর মানচিত্রে “বাংলাদেশ” নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। আজ মহান বিজয় দিবস। মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫৩ বছরপূর্তিতে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাঙ্গালীর ইতিহাস সকল শোষন, বঞ্চনার নাগপাশ ছিড়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধমে বিজয় ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। সকল অন্যায়, অবিচার, বঞ্চনা, অধিকারহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার সুমহান মহিমায় ভাস্বর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস। বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য ছিলো রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন। ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ উপ্ত হয়েছিল দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তা পূর্ণতা পায় এবং পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ন’মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে নেত্রকোণা জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণার মানুষও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, জীবন বাজি রেখে আত্মহতি দিয়েছিল তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বরে নেত্রকোণা জেলা মুক্ত হয়। আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি নেত্রকোণা জেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের অপরিসীম আত্মত্যাগ ও মরণপন সংগ্রামের ফলে নেত্রকোণা জেলা পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছে।
আজকের ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোণাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আসুন, আমরা দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগের শপথ গ্রহণ করি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেত্রকোণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাই একযোগে কাজ করি। আপনাদের সবার জীবন কল্যাণ হোক।