স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস্ ফেডারেশন আয়োজিত বয়স ভিত্তিক ৫ম জাতীয় জিমন্যাস্টিকস্ প্রতিযোগিতায় ব্যালেন্স বিম ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে যশোরের মাইকেল মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে তৃতীয় স্থান অধিকার করে তাম্র পদক জিতলেন খুদে জিমন্যাস্ট সুরাইয়া শিকদার এশা।১৩ -১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস্ ফেডারেশন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করেন বিকেএসপি, কোয়ান্টাম, ঢাকা ক্লাবসহ বিভিন্ন জেলার শতাধিক খুদে তারকারা অংশগ্রহণ করেন ।প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টামের মায়াবি চাকমা প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক, একই প্রতিষ্ঠানের সিংমেনু মারমা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রৌপ্যপদক ও যশোরের মেয়ে সুরাইয়া শিকদার এশা তৃতীয় স্থান অধিকার করে তাম্রপদক লাভ করেন।এশা যশোর জেলার হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এশার এই পদক জয়ের বড় একটি ভূমিকা রাখেন তার কোচ মো: মিনহাজুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যবিপ্রবি. দ্বিতীয় বর্ষ. ডিপার্টমেন্ট – physical education and sports science. বতর্মানে এশা এম.এস. টিপি স্কুলে শিক্ষারত আছে।খেলার জগতে এশার এইটি প্রথম প্রথম পদক।
এশা তার খেলার অভিঙ্গতা থেকে জানান- আমি খেলার আগে হতাশ ছিলাম আমার প্রতিনিধিদের কে শক্তিশালী ভেবে সকল সিনিয়রের পরামর্শ নিই এবং সকাল থেকে তারা আমাকে অনুশীলন করান এবং উৎসাহী করেন।পরবর্তীতে আমি আমার বড় বোন সুমাইয়া শিকদার ইলাকে ম্যাটের পাশে দেখে সাহস পাই এবং সে আমাকে বারবার বলেন তুমি তোমার সেরাটা দিবা তুমি আজ নতুন জাগরণ সৃষ্টি করতে পারবা। আমার মন খারাপ হয়েছে আমার খেলার সময় আমার বাবা-মা উপস্থিত হতে পারেনি তবে আমার সিনিয়রা আমার কোচ এবং বড় বোন তাদের অবস্থান থেকে আমার জন্য লড়েছেন। আমাকে বারবার বলেছেন তুমি পারবা। ইনশাআল্লাহ আমি অনুশীলন ছাড়াই পেরেছি।ভবিষ্যতে আরও ভালো করবো।এবং আমি চাই আমার জেলা যশোরে নিয়মিত জিমন্যাস্টিকস্ অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হোক।সময় স্থান এবং সুযোগ পেলে আমিও ভালো করতে পারবো এবং আরও ভালো মানের জিমন্যাস্ট তৈরি হবে এই যশোরে।এবং এছাড়াও এশা জানান তার ফলাফলের পর তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম স্যার তাকে ফোন করে খোঁজ নিয়ে শুভেচ্ছা দিয়েছেন।এশার কোচ মিনহাজুল জানান- সুরাইয়া চেষ্টা করেছে এবং ভালো করেছে আমি চেষ্টা করেছি আমার স্থান থেকে সর্বোচ্চ করার।ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে সুরাইয়া আরও ভালো করবে আমি আশা করি।