পদ্মাসেতু রেল প্রকল্পের উদ্বোধনী দিনে বেনাপোল- যশোর-নড়াইল-ঢাকা রুটে দুটি ট্রেনসহ ৬ দফা দাবিতে যশোর রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ রাখা ডিসেম্বর) দুপুরে একটায় যশোর রেল স্টেশনে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব জিল্লুর রহমান ভিটু’র সভাপতিত্বে ও সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিঃ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জনাব জাহিদ হাসান টুকুন, বর্ষীয়ান সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দৌল্লা, নান্টু, এ্যাড.আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, তসলিম উর রহমান, এ্যাড.মাহমুদ হাসান বুলু, উকিল বারের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, হাচিনুর রহমান, মোবাশ্বের হোসেন বাবু, দিপঙ্কর দাস রতন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাশেদ খান, হাবিবুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, সাঈদ নাসির আহমেদ সেফাড, ফুল চাষিদের পক্ষে আব্দুর রহিম, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা খন্দকার আজিজুল হক মনি প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বেনাপোল- যশোর- নড়াইল- ঢাকা রুটে দুটি ট্রেন, দর্শনা-যশোর-ঢাকা রুটে দুটি ট্রেন, নিজ শহর থেকে ঢাকায় অফিস করার ট্রেনের সময় সূচি, সুলভ বগী যুক্ত করা, যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা, ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা, সিনিয়র সিটিজেরদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা ও দর্শনা-খুলনা রুটে ডবল রেলপথ চালু করার দাবি জানান।
অবরোধের মুখে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনিটি যশোর ষ্টেশনে প্রবেশ না করে আউটার সিগনালে খড়কী পীর বাড়ির নিকট আটকে থাকে। এই সংবাদ পেয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক জনাব মোহম্মদ আজাহারুল ইসলাম অবরোধ স্থলে ছুটে আসেন। তিনি বলেন,অবরোধকারীদের দাবিকে ন্যায্য এবং সরকার যাতে দাবি মেনে নেয় সে বিষয়টি যথাযথ ভাবে তিনি দেখবেন। তিনি আরো বলেন আপনাদের অবরোধের সংবাদ ও দাবি সমুহ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রেল সচিবের সাথে আজ সকালেই কথা হয়েছে । সরকার অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করবে। সরকারের জেলার প্রতিনিধি হিসাবে আমি আপনাদের অবরোধ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করছি।
পরে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের আশ্বাসে এই অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। দুপুর একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।