কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার মদনে ১৩ বছর বয়সি এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার গোষ্ঠীয় চাচা মো. জামিল হোসেনের (২৬) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জামিল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত যুবক মো. জামিল হোসেন মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুল ইসলাম মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী সহজ, সরল ও বাক প্রতিবন্ধী প্রকৃতির কিশোরী। অভিযুক্ত যুবক ও ভুক্তভোগী সম্পর্কে গোষ্ঠীয় চাচা-ভাতিছি। ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, বাদীর চতুর্থ মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে। অভিযুক্ত যুবক বাদীর গ্রাম সম্পর্কে চাচাতো ভাই এবং তাদের দুজনের বাড়ি একই গ্রামের পাশাপাশি। গত ২০ নভেম্বর ভুক্তভোগীকে তার ৯৫ বছর বয়সী দাদীর কাছে রেখে বাদী ও তার গর্ভবর্তী স্ত্রীকে নিয়ে মদন পৌরশহরে ডাক্তার দেখাতে যান। ডাক্তার দেখানো শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীর মা ও বাবা বাড়িতে ফিরে আসেন।
পরেরদিন ২১ নভেম্বর বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাদীকে জানায়, ২০ নভেম্বর বসত বাড়ির পশ্চিম পাশে জনৈক কেরামত আলী চৌচালা টিনের ঘরে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যেতে দেখেন। প্রথমে বুঝতে পারে নাই বাদীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ভুক্তভোগীকে পরে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফাাকা ঘরে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত যুবক।
বাদীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাদীকে বিষয়টি অবগত করলে ভুক্তভোগী তার বাবা-মার কাছে ঘটনা খুলে বলে এবং কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি প্রদান করে অভিযুক্ত যুবক। বাদীর দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।