মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের । মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরের পরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো: আবুল হোসেন বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর গ্রামের বাবু মিয়ার পুত্র মিঠু মিয়া (৩৫), মোস্তফার পুত্র তাহের হোসেন (২৪) ও আইযুব আলী (২২), মো: নাইস হুজুর (৪৫), মো: জামাল মিয়া পুত্র মো: জাহাঙ্গীর (৪০), মো: দুলা মিয়া পুত্র মো: লিটন (৩৫), দুলা মিয়ার পুত্র মো: শিপন মিয়া (৩০), মো: সাদেকের পুত্র মো: খোকন বাবু (৩৬), মো: বজলুল’র পুত্র মো: মহিদুল (৩০) ও মো: শহিদুল (৩৫), তাজেলের পুত্র মো: শামীম (৩৩), অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পুত্র মোঃ শফি (৩০), মো: রঞ্জু (৩২), মো: আবুল হোসেনের পুত্র মো: সোহেল (৩৩), অজ্ঞাতনামার পুত্র মো: আয়তাল (৩৮), মো: আব্দুলের পুত্র মো: মোস্তফা (৪৪), অজ্ঞাতনামার পুত্র মো: দুদু মিয়া (৩৬), মো: সামাদ আলীর পুত্র মো: সাদ্দাম (২৫), অজ্ঞাতনামার পুুত্র মো: বিপুল (২৭), মো: সুমন (২৫), মো: আলম (২৪), মোঃ এনামুল (৩০), নরেঙ্গাবাদের মো: আছমান আলী সরদার, মো: মতলেব সরদার (৪০), মো: শাহ আলম সরদার (৩৭), মো: বদি’র পুত্র মো: আমিরুল ইসলাম (৩৫), মৃত ইছো শেখের পুত্র মো: সামাদ শেখ (৪৫), দুদু মিয়া’র পুত্র মো: রেজাউল (৪৫), মো: গোলাম মোস্তফা’র পুত্র মো: নূরুল আমিন (৪৫), গাসাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র মোঃ সেলিম মিয়া (২৫)। মামলার বাদি আবুল হোসেন জানান আসামীরা দীর্ঘ দিন ধরে দেশের প্রচলিত ভূ’মি আইন লঙ্ঘন করে করতোয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে। এদের বেশির ভাগই গোাবিন্দগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী পারের ফসলি জমি বাড়ী, সরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিণ হচ্ছে। আরো নতুন নতুন স্থাপনা গ্রাস করতে এগিয়ে আসছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জমান চকরহিমাপুর ও নরেঙ্গাবাদের মেরী এলাকা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে এর সত্যতা পান। এর প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার চেষ্টাকালে বালুু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)বুলবুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।