আজ ৭ নভেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পুরুষ রান্নার দিন।রান্নাবান্নার কথা মনে হলেই মেয়েদের কথাই মাথায় আসে কিন্তু শুধু যে নারীরাই ভালো রাঁধুনী, তা কিন্তু নয়। বর্তমানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদে সবাই টুকটাক রাঁধতে জানেন।
এই বিশেষ দিনটি মূলত সেই সকল পুরুষদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা সাধারণত রান্না করার সুযোগ পান না বা রান্নাঘরে তেমন সময় কাটান না। পুরুষদের রান্না করার প্রতি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে, প্রতি বছর এই দিনে পুরুষদের খাবার তৈরির মজাদার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়।
এই দিবসটি উদযাপন করার মূল লক্ষ্য হলো, পুরুষদেরকে রান্না শেখানোর মাধ্যমে পরিবারে আরও সমতা প্রতিষ্ঠা করা এবং রান্না করার আনন্দের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যারা রান্নায় তেমন দক্ষ নন, তাদের জন্য এই দিনটি হতে পারে একটি উপযুক্ত সুযোগ নতুন কিছু শেখার। অনেক পুরুষ আজ তাদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য সুস্বাদু খাবার তৈরি করছেন, এবং এই দিনটি সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পুরুষরা বিভিন্ন রেসিপি বেছে নিয়ে রান্না করছেন। কেউ রান্না করছেন মজাদার বিরিয়ানি, কেউ বা প্রস্তুত করছেন স্ন্যাক্স বা ডেজার্ট। নারীরাও তাদের পুরুষ বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের রান্নার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছেন।
আজকের দিনটি শুধু রান্নার জন্য নয়, বরং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর এবং রান্নার মাধ্যমে পরিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার একটি সুযোগ। রান্নার দক্ষতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবারে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।
গিন্নিকে খুশি করতে হোক কিংবা শখে, রান্নাঘরে আনাগোনা বাড়ছে পুরুষের। অফিস থেকে ফিরে কিছু খেতে ইচ্ছা হলে নিজেই বানিয়ে নিচ্ছেন। কিংবা ছুটির দিনে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় বিশেষ কোন পদ বানিয়ে চমকে দিচ্ছেন সবাইকে। অনেকে তো আবার ইউটিউব দেখে রান্না শেখেন। কেউ আবার বইমেলায় গিয়ে খোঁজেন দেশ-বিদেশের রান্নার বই। সেই বই দেখেই চলে রান্নাবান্না।
পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু তৈরি করতে আজকের দিনটি হতে পারে নতুন অভিজ্ঞতার সুযোগ।
অনলাইন ডেস্ক//এবি হান্নান