ববি প্রতিনিধি : তামজিদ
সম্প্রতি কালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে ৫দিনে ৪টা দুর্ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়! এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রকার ভীত সন্ত্রস্ত।
৪ই নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবস্থিত খয়রাবাদ সেতুর ঢালে বাস-মোটর সাইকেল সংঘর্ষে ইউনুস বিশ্বাস নিহত হন। তিনি বাউফল উপজেলার নওমালা হাইস্কুলের সাবেক গণিত শিক্ষক।
এবং গত ২ই নভেম্বরের একটি বাইক দুর্ঘটনায় সিফাত নামক এক কিশোর আহত হন। সে ৩ নভেম্বর চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
এছাড়াও একই সড়কে ৩০ই অক্টোবর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাইশা ফওজিয়া মিম নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের ধাক্কায় নিহত হন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পরেন এবং বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে পর পর দুই দিন মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন ।
মহাসড়কটির এমন অবনতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম ব্যাচের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান বলে ‘ এই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রতি ঘণ্টায় যাতে ২০ কি.মি বেশি না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এবং যারা এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে তাদের কে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন এই আইনের যথা উপযুক্ত প্রয়োগের জন্য স্পিডোমিটারের ব্যবহারের বিকল্প নেই’।
১১ তম ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়াতে যান চলাচলের গতিসীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং রাত্রের বেলায় রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে’।
১২ তম ব্যাচের গণিত বিভাগের সিয়াম বলেন ‘ যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মহাসড়কটি অবস্থিত সেহেতু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং দক্ষ চালকদের দিয়ে যেন যানবাহন চালিত হয় সে দিকে প্রশাসনকে দৃষ্টি রাখতে হবে’।
তারা আরো বলেন আশা করি এইসব পদক্ষেপ দৃশ্যমান হলে দুর্ঘটনা কিছুটা কমে আসবে।