জবি সংবাদদাতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবি সহ তিন দফা দাবিতে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা- ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসন, কবে দিবে প্রশাসন?’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, যত পারো রক্ত নাও, সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাস দাও’, ‘জমি নিতেই ৬ বছর, হল হতে কয় বছর’, ‘টেন্ডারবাজ প্রশাসন চলবে না, চলবে না, মুলা ঝুলানো প্রশাসন চলবে না, চলবে না’, ‘বছরের পর বছর যায় প্রশাসন শুধু মুলা ঝুলায়সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে কিন্তু শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কাজের অগ্রগতি থাকে না। সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
আন্দোলনের সংগঠক রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজের কাজ হচ্ছে না।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আজকের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রনালয় যদি আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ০৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আটকা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা এমন না যে বললেই কাজ হয়ে যাবে। যেটা ১২ বছরে হয়নি, সেটা ১২ দিনে সম্ভব না। আমরা সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলতেছি, একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাবে।
পরে উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাঁতিবাজার থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।