দুর্গাপুরে (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি –
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় বিএনপির এক সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সাবেক নেতা ও সৌদি প্রবাসী আবু সুফিয়ান (৫০)। তিনি উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক,যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন,একই ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মো. আলাল মিয়া ও সহযোগী মো.জলিল মিয়া,মো. কাজল মিয়া,সাদ্দাম,হোসাইন,সাগর মিয়া,মাসুম মিয়া,আব্দুস ছালাম,রয়েল মিয়া,শাহানুর,নিজাম মিয়া।
সম্মেলনে আবু সুফিয়ান জানান,দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি,জুয়ার বোড,গাঁজা,ইয়াবা ও বাংলা মদ ব্যবসা করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ওপর এই হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন,গতকাল (২ নভেম্বর) বিকেলে কুমুদগঞ্জ বাজারে,বিএনপির ইউনিয়ন দলীয় কাযার্লয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা, মো. আলাল মিয়া, মো. জলিল মিয়া, মো. কাজল মিয়া সহ আরো ৬-৭ জন সার্থন্বেষী দলীয় নেতারা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আমার ডাক চিৎকারে আমার ভাই মাওঃ আবুল হোসাইন এবং ভাতিজা মনিরুজ্জামান বাবু এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে। তারা আমার আরেক ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার ও আরেক ভাতিজা হাফেজ নাঈম হোসেনকেও গুরুতর আহত করে। ওদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার দুই ভাই এবং এক ভাতিজাকে স্থানীয়রা একটি দোকান ঘরে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন,দীর্ঘ ২৩ বছর বিএনপির রাজনীতি করে আজ বিএনপি‘র নেতাকর্মী দ্বারাই গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে উপজেলার নেতাদের কাছে জানিয়েছি। আমি আমার ওপর এই অতর্কিত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। সেইসাথে অত্র ইউনিয়নের যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা,দলীয় প্রভাব বিস্তার না করা সহ এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মাওঃ আবুল হোসাইন, আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান বাবু, আবু ইউসুফ, নাঈম হোসাইন,আজিম উদ্দিন, আক্কাছ মিয়া,জালাল রনি উপস্থিত ছিলেন।