তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলকপুর গ্রামে খাদ্য পরিদর্শক কিয়াম উদ্দিনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩ টার সময় বাড়ির পেছনের বারান্দার গেইটের তালা ভেঙ্গে পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী ৬ জনের একদল ডাকাত ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।
পরে ডিবি পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের বাকি সদস্যদের এক ঘরে জড়ো করে হাত পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা ঘরের সকেচ ও আলমারিতে থাকা হীরার আংটি সহ ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে। যাবার সময় সবাইকে হাল্লা চিৎকার করলে ফিরে এসে সবাইকে গুলিতে হত্যা করার হুমকি দেয়।
এদিকে কমলগঞ্জ থানার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরি, সিঁদেল চুরি,মোটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সরজমিনে গেলে খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা জানান, মঙ্গবার রাত ১২টা পর্যন্ত আমাদের বাড়ীতে একটি পারিবারিক বৈঠক ছিল। আত্বীয় স্বজনরা চলে গেলে আমরা খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মুখোশধারী ৬ জনের একদল ডাকাত আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার স্বামীকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাকী সদস্যদের এক ঘরে এনে হাত পা বেঁধে ফেলে।
পরে আমাদের ঘরে থাকা হীরার ২টি আংটি, ২ ভরি ওজনের ২ জোড়া কানের দুল, ২ ভরি ওজনের গলার ১ টা নেকলেস, ২ ভরি ওজনের ১ জোড়া গলার চেইন, ১ ভরি ওজনের ১ জোড়া হাতের বালা, আড়াই ভরি ওজনের মনিপুরি গুটি মালা ১ টা, ১ ভরি ওজনের ১ জোড়া স্বর্ণের আংটি ও ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের রিং এবং আমার দেবরের প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণসহ মোট ১৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
যাবার আগে আমাদের হুমকি দিয়ে যায়, কেউ হাল্লা চিৎকার করলে ফিরে এসে সবাইকে গুলি করে হত্যা করবে। ঘটনার খবর পেয়ে আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদান হোসেন ঘটনাস্থল পরদর্শন করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকন্দের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজী জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আনিসুজ্জামান সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে আমার এটি একটি পরিকল্পিত হামলা বলে মনে করছি।এই ঘটনার ভিকটিমের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আরো স্পষ্ট হতে পারবো। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।