আরিফ শেখ, রংপুুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বকশী পাড়া সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দেরীতে স্কুল আসা ও সাংবাদিকের চাওয়া তথ্য প্রদানে গড়িমসি ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সহ ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দ ব্যয়ের পরিকল্পনার কাগজ দেখাতে গিয়ে হঠাৎ উত্তেজিত কণ্ঠে তারাগঞ্জের সাংবদিক দ্বারা বিরক্ত ও অত্যাচারিত হওয়ার মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আক্রমণাত্বক হওয়ার ঘটনায় জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় গত (২২ অক্টোবর) ২০২৪ইং “সাংবাদিকদের সাথে তারাগঞ্জের বকশিপাড়া সপ্রাবি প্রধান শিক্ষকের উদ্ধত আচরণ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাহা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি গোচর হয় এবং মোবাইল ফোনে অবগতকরণ ও ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও দেখানো হয়।
প্রকাশিত সংবাদ ও সাংবাদিক কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য আমলে নিয়ে গত (২৮ অক্টোবর) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা স্বাক্ষরিত একটি কৈফিয়ত তলব প্রসঙ্গে একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে বলা হয় পত্রিকায় গত ২২/১০/২৪ইং প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আপনি ২০/১০/২৪ইং সকাল ১০.৩০ ঘটিক পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না এবং সাংবাদিকদের সাথে উদ্ধত আচরণ করেছেন মর্মে জানা যায়, যাহা গণকর্মচারী শৃঙ্খলা(নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ২০১৮ এর পরিপন্থি উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা কেন হবে না মর্মে সন্তোষজনক জবাব, পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত (২০ অক্টোবর) ২০২৪ইং বকশী পাড়া সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দাস এর বিরুদ্ধে দেরীতে স্কুল আসা ও সাংবাদিকের চাওয়া ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দ ব্যয়ের পরিকল্পনার তথ্য প্রদানে গড়িমসি এবং বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় হঠাৎ উত্তেজিত কণ্ঠে দৈনিক অধিকরণ ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিকের সাথে উদ্ধত আচরণ সহ তারাগঞ্জের সাংবদিক দ্বারা বিরক্ত ও অত্যাচারিত হওয়ার মিথ্যে অপবাদ দেন। এসময় তিনি বলেন সাংবাদিক কি করতে পারে, আমার জানা আছে, এদরে অত্যাচারে শিক্ষকতা করা যাবে না। আপনাদের কি করার আছে করেন, তিনি আর কোন কথা না বলে তথ্য প্রদান ছাড়াই অফিস কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যান।
সংবাদটির পরবর্তী অবস্থা শিক্ষা বিষয়ক ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ৩য় পর্বে প্রকাশ করা হবে…..!