আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলাধীন সয়ার ইউপি’র বকশিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দাসের প্রতিষ্ঠানে আগমন ও প্রস্থান চলে নিজ খেয়ালে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে, (২০ অক্টোবর) রোববার দৈনিক অধিকরণ ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তারাগঞ্জ প্রতিনিধি উক্ত বিদ্যালয়ে সকাল ৯.৩০ মিনিটে উপস্থিত হয়।
প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়টি কর্মরত শিক্ষক ৬ জন, সেখানে দেখা যায় ১২/১৩ জন শিক্ষার্থীসহ ৫ জন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত। সকাল ৯ঃ০০টায় শিক্ষক উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও সাড়ে ১০টা পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দাসের।
এসময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক সোমনাথ দাসকে মোবাইল ফোন কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে প্রতিষ্ঠানে এলে সাংবাদিকের চাওয়া তথ্য প্রদানে কাগজ খোঁজাখুঁজিতে গড়িমসি ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন এবং শুধুমাত্র ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ ২ লাখ টাকার ব্যয় পরিকল্পনার কাগজটি দেখাতে গিয়েই হঠাৎ উত্তেজিত কণ্ঠে তারাগঞ্জের সাংবাদিক দ্বারা বিরক্ত ও অত্যাচারিত হওয়ার অপবাদ দিয়ে আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠেন। প্রধান শিক্ষকের এভাবে রেগে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি আরও রেগে যান এবং বলেন আর কিছুই বলবো না আপনারা কি লেখেন আর আমার কি করতে পারেন করেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ আঞ্জুমান আরাকে মোবাইল ফোনে অবগত করা সহ তাঁর অফিসে এসে ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও দেখানো হয়। বিষয়টি উপজেলা ক্লাস্টার ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অবগত আছেন।
শিক্ষক হাজিরা খাতায় ১০ঃ১০টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর না থাকা বিষয়টিও জানানো হয়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে তথ্য সহযোগীতা না করে উল্টো উপজেলার সাংবাদিক দ্বারা বিরক্ত ও অত্যাচারিত হওয়ার অপবাদ দিয়ে আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠা এবং সাংবাদিকদের নিয়ে কটূকথা বলা কতটা দাপ্তরিক শিষ্টাচার লংঘন, এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে দেখা দিয়েছে সমালোচনার ঝড়।
উল্লেখ্য যে- বিদ্যালয়টিতে গত ২৩/২৪ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দ ২ লাক্ষ ও স্লীপ সহ অন্যান্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী দুর্নীতি ও ক্রয়কৃত পণ্যের বিভিন্ন অনিয়ম, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের খেয়াল খুশি আগমণ ও প্রস্থান, শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠ উপযোগী হয়ে না ওঠা এবং তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকদের সাথে অতর্কিত ভাবে উদ্ধত আচরণের দায় কি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অবহেলার কারন নয়? এই সংবাদের পরবর্তী অবস্থা “শিক্ষা বিষয়ক ধারাবাহিক” প্রতিবেদনে পূনরায় প্রকাশ করা হবে।