ভোলা প্রতিনিধি॥
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ান পরিষদ থেকে পুনর্বাসনের চাল নেয়ার এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের মৎস অধিদফতর গত ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে মা ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য পুনর্বাসনের জন্য ২৫ কেজি (জনপ্রতি) করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। সে আলোকে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ানে মেঘনা নদী তীরের জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য চার হাজার ২০০ ও জেলের মধ্যে তিন হাজার জেলের চাল বরাদ্ধ দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
শনিবার সকালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ান পরিষদ থেকে পুনর্বাসনের চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাদরাসা বাজার-সংলগ্ন এলাকা থেকে সিরাজ মাঝি, মোবারক মাঝি, জেলে মো: কবির, মোশারফ মাঝি , খোকন ও ইউসুফ মিয়ার চাল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ইউনিয়ান আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মো: শাহাদাত মেম্বারের ভাতিজা যুবলীগ কর্মী মো: অলি মিয়া, মাহমুদের ছেলে মো: সাকিল, আবুল বাসারের ছেলে (মো: শাহাদাত মেম্বারের মামাতো ভাই) মো: ফোরকান।
মো. কবির মাঝির স্ত্রী আয়েশা, সিরাজ মাঝির স্ত্রী বিবি কুলছুম এবং ফয়সালের স্ত্রী নাজমা জানান, অভিযুক্ত চাল ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই সেখানে ওৎ পেতে ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েক জনে জানান, এরা আগেও অনেকবার এসব কাজ করছে। এরা কয়েকজন সবসময় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে চেলেফেরা করে।
চাল ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অভিযুক্তদের কাছে জানতে তাদের মোবাইলে একাদিকবার কল করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সুবিধাভোগী জেলেদের চাল ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো: কামরুল পাটাওয়ারী বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, যারা জেলেদের চাল ছিনিয়ে নিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের লোক। বিএনপির সুনাম নষ্ট করার জন্য এজঘন্যতম ও ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে সে এড়িয়ে যান। কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।