হযরত আলী,
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটরে হাতীবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেহানা খাতুনকে অফিস রুমে ঢুকে লাঞ্চিত করা অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সায়মা খাতুন লাকীর বিরুদ্ধে।
এরই প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে উপজেলার সিংগীমারী ইউপির দঃ ধুবনি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপি এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষাথীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা সায়মা খাতুন লাকী উপজেলার গড্ডিমারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিক। আর ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রেহানা খাতুন উপজেলার দক্ষিন ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
জানা গেছে, দক্ষিন ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাথে দ্বন্ধ বাধে অভিযুক্ত শিক্ষিকা লাকী ও তার স্বামী শাহিনের । এ নিয়ে গত ৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ে গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসে। পরে ৬ অক্টোবর শিক্ষিকা সায়মা সেই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষককের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়ান পরে সহকারি শিক্ষিকা রেহানা বেগমের সাথে। এর এক পর্যায়ে তার উপর চড়াও হন শিক্ষিকা সায়মা এবং শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন। এতে করে শিক্ষিকা রেহেনা অচেতন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।
মানববন্ধনে বক্তব্যকালে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে অপর এক শিক্ষকের অফিস কক্ষে ঢুকে লাঞ্চিত করার ঘটনা অত্যান্ত নিন্দনীয় ও দুঃখ জনক ঘটনা। তাই শিক্ষিকা লাকী যদি শিক্ষিকা রেহানা বেগমের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে কঠিন কর্মসূচী নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গড্ডিমারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা সায়মা খাতুন লাকী বলেন, মানববন্ধনের কথা শুনেছি। তবে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তা সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি শুধু রেহানা বেগমের সাথে কথা বলেছি। কিন্ত কোন লাঞ্চিত করা হয়নি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দক্ষিন ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রেহানা খাতুন বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য থাকা নিয়ে ম্যানিজিং কমিটির সাথে সায়মা আক্তার ও তার স্বামী শাহিনের দ্বন্ধ চলে আসছিলো। সেই দ্বন্ধের জেড়ে লাকী আমার বিদ্যালয় অফিসে এসে আমার বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এর এক পর্যায়ে আমাকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এ বিষয়ে দক্ষিন ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বি গোলাম সারোয়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য পদ নিয়ে দ্বন্ধের জেড়ে সায়মা আক্তারের স্বামী শাহিন প্রথমে বিদ্যালয়ে এসে হুমকি ধামকি দিয়ে। পরে সায়মা আক্তার নিজে এসে আমার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আমার সামনেই রেহেনা বেগমের উপর চড়াও হয় ও তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের মোবাইল নম্বরের কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই । তবে কেউ লিখিত ভাবে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।