গাইবান্ধা প্রতিনিধি,
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, এসআই ও এএসআইসহ ৬ জনকে আসামি করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা (নং ৬৫৯),মামলা দায়ের করার ফলে পুলিশ মামলার বাদী লাভলী বেগম, তার পরিবারের লোকজন ও সাক্ষীদেরকে নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে বলে অভিযোগ করছেন ।
আসামিরা হচ্ছে রাজশাহী রেঞ্জে সদ্য বদলিকৃত ইনচার্জ আব্দুল আজিজ (৮১০৮১২৮৭৩৫), গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার এসআই জুলিয়াস রহমান (৮০০০০৭৯০১৯), ঢাকা ডিএমপি থানার এএসআই মাসুদ রানা (৮৮০৮১২১৪৯৭) ও বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. আসলাম (৮৬০৫০৯৯১৩৮)।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ সাহাবাজ গ্রামের মৃত কালেব ব্যাপারীর ছেলে আব্দুল হামিদ ও আমির উদ্দিনকে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া পাঠানো ও জমি বন্দক নেয়ার কথা বলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে ৩৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন।
আব্দুল হামিদের সাথে যোগসাজসে গত ২৭ জুলাই রাতে এসআই জুলিয়াসের নেতৃত্বে একদল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তালুক সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের মৃত আমির হামজার ছেলে ইব্রাহিমের বাড়িতে পুলিশি অভিযান করে তাকে আটক করে। এসময় জমির চুক্তিনামা ও ঢাকার গুলশান শাখার জনতা ব্যাংকের একখানা চেক উদ্ধারের চেষ্টা করেন। আব্দুল হামিদ ও আমির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত জমির স্ট্যাম্প ও চেক না পেয়ে নানা ধরণের হুমকি ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ইব্রাহিমের হাতে হাতকড়া পড়ায় এসআই জুলিয়াস।
এসময় মামলার বাদী ইব্রাহিমের স্ত্রী লাভলী তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে এসআই জুলিয়াস এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। উক্ত দাবিকৃত টাকা না দিলে মাদক মামলা বা আওয়ালীগ সরকারের শাসনামলে নাশকতা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর হুমকী দেন।
মামলার বাদী স্বামী ভুক্তভোগী ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোক মারফত এসআই জুলিয়াস ৭০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে হাতকড়া খুলে দেন। এঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর বুধবার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা পিবিআই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালিন ইনচার্জ আব্দুল আজিজের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।