(নোয়াখালী প্রতিনিধি)
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার অষ্টমী উদযাপিত হয় গতকাল শুক্রবার। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো কুমারী পূজা। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা। এবার কুমারী পূজায় ছিল ভক্তদের উপচেপড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবার নোয়াখালী জেলার কবির হাট উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপগুলোতে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে শুরু করা হয় কুমারী পূজা। শেষ হয় বেলা ১টায়। অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস– এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য দেওয়ার পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। এরপর পুষ্পাঞ্জলি এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এবারের মাতৃরূপী দেবী দুর্গার শাস্ত্রীয় নাম পূঞ্জিকা আর জীবন্ত রূপের নাম সংহিতা ভট্টাচার্য। দুর্গা পূজার পঞ্চম তিথিতে তার জন্ম। এরআগে স্নান করিয়ে ঝকঝকে শাড়ি, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে টিপ ইত্যাদি পরিয়ে সাজিয়ে তৈরি করা হয় কুমারী মাকে।
কবির হাট উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপগুলোতে এদিন ছিল হাজার অনুরাগীর ঢল। পূজা মন্ডপগুলোতে ঢাকের বাদ্য, কাঁসরঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজ আর উ লুধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো প্রাঙ্গণ।
এই বিষয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদেশ চন্দ্র পাল বলেন, কবিরহাট উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালিত হচ্ছে,পূজা মন্ডপ গুলোকে রয়েছে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে এবং আমাদের কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটির ২২টি সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেই সিদ্ধান্তে মতে কবির হাট উপজেলার ১৮টি পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালিত হচ্ছে। এবং তিনি আরো বলেন আগামী ১৩ তারিখে পূজার কার্যক্রম সমাপ্তি হবে।
আশা করি আমরা কবির হাট উপজেলা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ সমাপ্তি হবে, এবং তিনি আরো বলেন দেশে দলীয় সরকার না থাকায় আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ছাত্র সমন্বয়ক এর প্রতিনিধি দল কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং জামাত ইসলামের নেতৃবৃন্দরা, আমাদের পূজা মন্ডপগুলোতে পরিদর্শনে আসেন জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপির নোয়াখালী ৫ আসনের সমন্বয়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত কবির হাট উপজেলায় কোন আপত্তিকর ঘটনা ঘটে নি বলে জানান তিনি।