উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় অনুগ্রহ কামনা করে রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।মানববন্ধনকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবীর শাহীন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রাজ্জাক ভূইয়া হীরা।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছোট রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কাকনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সানোয়ার পারভেজ তাসাদ্দাক পিন্টু, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও সমন্বয়ক আল আমিন, হারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সমন্বয়ক মোঃ আমিনুল হক।
এসময় অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক কাজী আলমগীর, আনোয়ারুল হক খোকা, নুরুল হুদা, টিপু সুলতান, রাসেদুজ্জামান রাজন, শওকত ইকবাল, সাদ্দাম হোসেন রানা, রোকসানা বেগম, আইরিন সুলতানা, মোরশেদ আলম, গোল্ডেন উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, টিপু সুলতান, আলমগীর হোসেন রানা, জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রতন, বিলকিস বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এবং প্রধান শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, অধিকার। বর্তমানে আমরা ১৩তম গ্রেডে শিক্ষকতা করছি। অথচ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সিনিয়র নার্স, উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১০ম গ্রেডে বেতন পান।
এটি চরম বৈষম্য। একই যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও ১৩ তম গ্রেডে থাকায় সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন শিক্ষকরা। বর্তমান সরকার বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানান।