ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চার বিঘা জমির আমন ধান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ প্রতিপক্ষের লোকজন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের মাঠের এসব ধান কেটে নষ্ট করেছে।
এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি তাদের। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম, জাকির ইসলাম, রুহুল আমিন, রতন ব্যাপারী, আনোয়ার হোসেন, মেহেদী সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন, কাতলামাড়ী গ্রামের আব্দুল রহিম মধু’র ছেলে নুর ইসলাম, বছির উদ্দিন ব্যাপারির ছেলে রমজান আলী, আব্দুল ওয়াহেদ’র ছেলে উজ্জ্বল ব্যাপারি।
কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম, জাকির ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আমাদের। কাতলামারী মৌজায় ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করি আমরা। ধানের চারা গুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এবার জমি থেকে ভালো ফলনের আশা করছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি কঁচি ধানগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।’
কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘ধানক্ষেত কেটে নষ্টের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেন ফুলছড়ি থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম, জাকির ইসলাম, রুহুল আমিন, রতন ব্যাপারী, আনোয়ার হোসেন, মেহেদী সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’
কৃষক উজ্জ্বল ব্যাপারি বলেন, গত শুক্রবার সকালে জাহিদুল ইসলাম, জাকির ইসলাম, রুহুল আমিন, রতন ব্যাপারী, আনোয়ার হোসেন, মেহেদী সহ তার লোকজনেরা অজ্ঞাতনামা পাওয়ারট্রিলার চালক সহ আমার আমন ধানের জমিতে পুনরায় হালচাষ করে জমির সম্পূর্ণ ধান বিনষ্ট করে দিয়েছে। এসময় বাধা দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে জমি থেকে নিরাপদ দূরত্বে আসি।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষ জাহিদুল ইসলাম, জাকির ইসলাম, রুহুল আমিন, রতন ব্যাপারী, আনোয়ার হোসেন, মেহেদি সহ তার লোকজন নিয়ে সকালে জমির ধানের চারা কেটে নষ্ট করেছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে তাদের। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়য়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনীয়া জানান, কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।