ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া মোহাম্মদ আলী ইউনাইটেড একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে এলাকাবাসী। গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কঞ্চিপাড়া মোহাম্মদ আলী ইউনাইটেড একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম পাশে মাঠ সংলগ্ন বিভিন্ন প্রজাতির ১১টি গাছ খোলা ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। আগ্রহী ব্যক্তিদের বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্বশরীরে উপস্থিত থেকে খোলা ডাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
গাছ বিক্রির এই নোটিশ প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র গাছ কাটার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। তাদের দাবি কোন কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র সুমন সরকার বলেন, ‘এই গাছগুলোর সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি আছে। স্কুল মাঠে একটি মাত্র বড় গাছ এখন ছায়া প্রদান করছে। এই গাছের ছায়া এলাকার সবাই উপভোগ করছেন। তাই এই গাছ না কাটার অনুরোধ করছি।’ প্রাক্তন ছাত্র জিসান বলেন, ‘কঞ্চিপাড়া মোহাম্মদ আলী ইউনাইটেড একাডেমি আমাদের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ। এটা রক্ষা করা আমাদের কতর্ব্য। তাই গাছ কাটতে দেওয়া যাবে না।’
প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তোহা বিশ্বাস বলেন, ‘ওইখানের একটি বড় গাছ বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্যবর্ধন করছে। ওই গাছটির রক্ষা করে যদি ভবন নির্মাণ করা যায়, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজও ত্বরান্বিত হবে।’
এ ব্যাপারে কঞ্চিপাড়া মোহাম্মদ আলী ইউনাইটেড একাডেমীর প্রধান শিক্ষক রায়হান সরকার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পশ্চিম প্রান্তের কিছু জায়গা অনেক আগে থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবহার করে আসছে। ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি চারতলা ভবন নির্মাণ হবে।
সেই জন্যই সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্রদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।