কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোণা আটপাড়া উপজেলার মনসুরপুর গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোর অনিককে (১৬) হত্যার প্রতিবাদের হত্যাকারীদের ফাঁসীর দাবিতে নেত্রকোণায় মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নেত্রকোণা জেলা ক্লাবের সামনের সড়কে সাধারণ ছাত্র-জনতা, এলাকাবাসী ও নেত্রকোণার সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত অনিকের বড় বোন, নেত্রকোণায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শেহাবির (শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়) মেধাবী ছাত্রী হাফসা ইসলাম মোহ। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রীতম সোহাগসহ রাজীব মিয়া, রেজুয়ান জয়, সৌধ, নাফিউ, শামীম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অনিক হত্যার দুই মাস হয়ে গেছে। অথচ আসামিরা নিজেদের মতো কাজ কর্ম করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। গত দুই মাসে ছয় জন আসামির মধ্যে একজনও আজও গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা।
নিহতের বোন হাফসা ইসলাম মোহ বলেন, গত ১৭ জুলাই প্রতিবেশির পাট ক্ষেতে আরেকজনের গরু প্রবেশ করে নষ্ট করতে ছিল। এসময় ক্ষেতের মালিক আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাই অনিককে বলে গরুটিকে খোয়াড়ে দিয়ে আসতে। খোয়াড়ে নেওয়ার পথে সাকিব ও নাসির তারা দুজনে গরুটি অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে অনিকের কাছ থেকে গরু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সহজ সরল অনিক গরুটিকে তাদেরকে না দিয়ে নিকটবর্তী আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেঁধে এসে গরুর মালিককে ঘটনা খুলে বলে।
এদিকে ঘটনা জানার পর আমি (হাফসা ইসলাম) বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এলাকায় আসলে সাকিব ও নাসিরের আত্মসম্মানে লাগে এবং গরুর মালিক অনিকের দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন কেন গরু খোয়াড়ে দিতে চেয়েছিল। গরুর মালিক শফিক ও তার ভাই সাইফুলসহ সাকিব, নাসির, রেজউদ্দিন ও অপু তারা পরস্পরের যোগসাজসে অনিককে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে অনিকের মৃত্যু হয়।