নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও বাড়ি ভাঙচুর চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এতে করে এক নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বুধবার দুপুর) এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এরআগে গত সোমবার সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- সেহড়াউন্দ গ্রামের একই পরিবারের আরব আলী (৫৫), তার স্ত্রী রত্না আক্তার (৪৫) এবং তাদের দুই ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫) ও মো. শফিকুল (৩০)।
অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. সাকিম মিয়া, মুল্লুক মিয়া, ফুল মিয়া, লাকমিয়া ও নিজাম উদ্দিন।
কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, একই গ্রামের আরব আলী পরিবারের সাথে মো. সাকিম মিয়াসহ তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন এলাকা নদীর পাড়ে আরব আলীর ছেলে মো. মোবারকের (২০) সাথে মো. সাকিম মিয়ার (২৭) মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে মো. মোবারকের ওপর চড়াও হন মো. সাকিম মিয়া। পরে মোবারক তার বাবা আরব আলীকে ঘটনাটি জানায়। জানার পর আরব আলী বিচার চেয়ে সাকিমসহ তার পরিবারকে গালাগালি করেন। তুচ্ছ এ ঘটনাকে কেন্দ্র পরবর্তীতে মো. সাকিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আরব আলীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় আরব আলী ও তার স্ত্রী রত্মা আক্তারসহ তার দুই ছেলে মো. জুয়েল মিয়া এবং মো. শফিকুল নামে চারজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদেরকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহতরা বর্তমানে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে আহত আরব আলী বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা ও বাড়ি ভাঙচুর করে মো. সাকিম মিয়াসহ তার লোকজন। এতে আমি, আমার স্ত্রী রত্নাসহ দুই ছেলে গুরুতর আহত হই। বর্তমানে আমরা সবাই মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। তবে রত্নার অবস্থা বেশি ভালো না। থানায় অভিযোগ দিবেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ ও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।